ভাষা একটি পরিবর্তনশীল স্রোতধারা। যুগ যুগ ধরে পরিবর্তিত হয়ে খ্রীষ্টপূর্ব ১০০০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত মধ্যভারতীয় আর্যভাষার সাধারণ নাম হয় প্রাকৃত। প্রাকৃতের বিভিন্ন শ্রেণীর উৎপত্তি ও বিকাশের একটি রূপ হল মাগধী প্রাকৃত। এই মাগধী প্রাকৃতের অপভ্রংশ হতেই বাঙলা, আসামী, উড়িয়া ভাষার সৃষ্টি হয়। দ্বাদশ শতকে এসে এই অপভ্রংশই হয়ে গেল বাংলার আধুনিক ভাষা।
অপভ্রংশে লৌখিক উপাদান যথেষ্ট থাকলেও সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা ভিন্ন। দেশী ভাষাই ছিল সর্ব সাধারণেল মূখের ভাষা। এই এলাকার লোকজন সাধারণত দেশীল ভাষায় তার মনের মাধুরী মিশানো শব্দ দিয়ে ভাব প্রকাশ করে থাকে। যাকে আমরা আঞ্চলিক ভাষা বলে থাকি। সর্ব অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা থাকে। মূলত এই আঞ্চলিক ভাষাই পরিমার্জিত হয়ে লিখিত আকারে বব্যহার করা হয়। মূল বাংলা ভাষার অপভ্রংশের আরও খন্ড খন্ড রূপে অপভ্রংশিত হয়ে এখনকার মানুষ কথা বলে যাকে অনেকেই নতুন রূপে ডাকে। তার নাম হল চাটগাঁইয়া ভাষা। বাংলা ভাষা বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষ ব্যতিতত সকল জেলার মানুষের। এ ভাষা সম্পর্কে বেশ কৌতুহল লক্ষ্য করা যায়। কক্সবাজারের মানুষের সাথে পাশ্ববর্তী সীমান্ত দেশ মায়ানমার ‘র সাথে নিবিড় সম্পর্ক থাকায় এ অঞ্চলের মানুষের ভাষার সাথে মায়ানমা তথা আরকানী ভাষার সংমিশ্রন পাওয়া যায়। নিম্নে এই রুপ কথ্য ভাষার মিশ্ররুপ দেওয়া হলো:
আঞ্চলিক ভাষা পরিভাষা
বেয়ানে/বেইন্ন্যা সকালে
দুইঁরগ্যা দুপুরে
কোদাইল্যা মাটি কাটার শ্রমিক
কইডা চিচিংগা
পন্না পড়া
কাকারা ইউনিয়নে হিন্দু ও মুসলিম জনগোষ্টি ধর্মীয় সহিষ্ণুতার মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে শান্তিপূর্ণবাবে বসবাস করে আসছে। এর একমাত্র কারণ হল সংস্কৃতির বিকাশ। এখানে প্রায় সময় সংস্কৃতির চর্চা হয়। বিশেষ করে ইউনিয়নের অন্ত:ভূক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহৈ প্রতি বৎসর তাদের বার্ষক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন কালীণ সময় জারী, সারি গান, লোকগীতি, ভাওয়াইয়া, পল্লীগীতি আধুনিক থেকে শুরু করে নজরুল সংগীত ও রবীন্দ্র সংগীত চর্চা করা হয়। েএছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মনসা পুঁতি, জাগরণ পুঁতি সহ পুতিঁ পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয়। বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগেও সময়ে সময়ে পাল্টাগানের আসর বসানো হয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS